বর্ষার পানি জমা হতে না হতেই একশ্রেণির জেলে ও মাছ শিকারি টাঙ্গন নদী ও ব্যারাজের বিভিন্ন পয়েন্টে কারেন্ট জাল, ফিকা জালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পোনা ও ‘মা’ মাছ ধরছেন।
স্থানীয় হাটবাজারে সেগুলো প্রকাশ্যে বিক্রি করলেও জেলা মৎস্য বিভাগ এর কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
দেশে প্রচলিত মৎস্য আইনে ১ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পোনা মাছ ও ডিমওয়ালা মাছ ধরা বেআইনি। এ আইন অমান্য করলে অর্থদণ্ড ও জেল বা উভয়দণ্ড হতে পারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েকদিন থেকে সদর উপজেলার টাঙ্গন নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট, উত্তর বঠিনা, রুহিয়া টাঙ্গন ব্যারাজ এলাকায় ও পাটিয়াডাঙ্গী ব্রিজ, বরদেশ্বরী, শুক নদসহ বিভিন্ন পয়েন্টে জেলেরা বাদাই, কারেন্ট, ফিকা, ছাপি জালসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ ধরছে। তারা এই মাছ স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা বাজারে বিক্রি করছে।
এব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আফতাব হোসেন জানান, টাঙ্গন ব্যারাজে বিভিন্ন পয়েন্টে মা মাছ নিধনের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে ইতোধ্যে অভিযান শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে জনবল সংকটের কারণে পুরো এলাকায় একসঙ্গে অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না।